বীর মুক্তিযোদ্ধার বাণী

স্বাধীনতা আমাদের শ্রেষ্ঠ অর্জন। স্বাধীনতার চেতনা ছিল একটি দুর্নীতিমুক্ত, শোষণমুক্ত, সুখী সমৃদ্ধশালী উন্নত আত্মনির্ভরশীল শিক্ষিত জাতি গঠন। শিক্ষার সাথে সাহিত্য-সংস্কৃতির সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। শিক্ষার অগ্রগতির সাথে সাথে শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিকশিত হয়, এগিয়ে যায়। সকল উন্নয়নের প্রাণ হলো শিক্ষা। শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে পারলে অন্যান্য উন্নয়ন ও সামান্তরাল ভাবে এগিয়ে যায়। একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষার পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, ক্রীড়া কম্পিউটার, বিজ্ঞান সহ জীবনের সকল ক্ষেত্রে বহুমুখী প্রতিভা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শুধু পাঠদানের জন্য নয়, দেশের মানবসম্পদ উন্নয়নে এর গুরুত্ব অপরিসীম। আজকের শিশুরাই আগামী দিনের জাতির কর্ণধর। তাই ছাত্র-ছাত্রীদের সৃজনশীল প্রতিভা বিকাশে বিদ্যালয় হতে “স্মরণিকা বা বার্ষিকী” প্রকাশ করার গুরুত্ব অপরিসীম।
আমি জানতে পেরেছি ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে ঐতিহ্যবাহী বাঘারপাড়া সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় হতে এস এস সি পরীক্ষায় ২৯ জন জি,পি,এ-৫ পেয়ে শতকরা ৯৮ ভাগ কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়েছে। এ বছর এ বিদ্যালয় হতে “স্মরণিকা বা বার্ষিকী” প্রকাশিত হতে যাচ্ছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এ স্মরণিকা বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের সৃজনশীল প্রতিভা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং সুন্দর সৃষ্টিশীল জীবন গঠনের প্রতি উৎসাহিত হবে।
প্রিয় ছাত্রছাত্রীবৃন্দ, বর্তমান বিশ্ব কম্পিউটারের যুগ, তথ্য প্রযুক্তির যুগ, তোমরা সততা, ন্যায়বোধ, দেশপ্রেম ও নৈতিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে দুর্নীতিমুক্ত, শোষণমুক্ত, সমাজ ও “ডিজিটাল বাংলাদেশ” গড়ার মাধ্যমে “স্বাধীনতার স্বপ্ন ও সোনার বাংলা গড়তে দৃঢ় প্রত্যয়ী হবে। বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, কর্মচারী, পরিচালনা পরিষদ ও সকল ছাত্র-ছাত্রীদেরকে জানাই আমার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। বিদ্যালয়ের সামগ্রিক পর্যায়ে আরও উন্নয়ন হোক। সকলের প্রতি আমার আশীর্বাদ রইল

রনজিত কুমার রায়
জাতীয় সংসদ সদস্য
৮৮, যশোর-৪
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার